ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ
বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা

১০০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০১:৪৩:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০১:৪৩:২৪ অপরাহ্ন
১০০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগের তদন্ত চলমান আছে


পণ্য রফতানির আড়ালে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী অনুসন্ধান শেষে সংস্থাটি এসব মামলা করেছে বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও তার ভাই সোহাইল ফাসিহুর রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠান ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৩টি এলসি বা ঋণপত্রের বিপরীতে পণ্য রফতানি করে।
নির্ধারিত সময় পার হলেও রফতানির প্রায় ৮৩ মিলিয়ন ডলার (৯৯৬ কোটি টাকা) দেশে না আনায় পাচারের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পাওয়ার কথা বলছে সিআইডি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশে রফতানি হওয়া পণ্যের বেশিরভাগই পাঠানো হয়েছে সালমানপুত্র আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং সোহাইলপুত্র আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আরআর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের শারজাহ (সংযুক্ত আরব আমিরাত) এবং সৌদি আরবের ঠিকানায়।
এই চারজনসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কাতেও পণ্য রফতানির আড়ালে অর্থপাচারের তথ্য সিআইডি জানতে পেরেছে।
নিজের ভাই আহমেদ সোহাইল ফাসিহুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) ১৯৭০ সালে গঠন করেন বেক্সিমকো (বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড), যা পরে গ্রুপ হিসেবে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে বিভিন্ন খাতে।
ওষুধ, বস্ত্র, আমদানি-রফতানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হোটেল, প্রকৌশল, মিডিয়াসহ নানা খাতে ছড়িয়ে আছে সালমানের বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবসা। পুঁজিবাজারেও তার প্রভাব নিয়েও নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।
কাগজে কলমে গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালক হলেও সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বেই এসব কোম্পানি পরিচালিত হয়েছে। তার ভাই ও উদ্যোক্তা সহযোগী আহমেদ সোহাইল ফাসিহুর রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ও কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা পরিচালকও।
যেসব কোম্পানির নামে বেক্সিমকো গ্রুপ অর্থপাচার করেছে বলে সিআইডি জেনেছে, তার মধ্যে আছে- অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস, অটাম লুপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস, কোজি অ্যাপারেলস, অ্যাসেস ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস, কাঁচপুর অ্যাপারেলস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস, প্লাটিনাম গার্মেন্টস, স্কাইনেট অ্যাপারেলস, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস, আরবান ফ্যাশনস ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস।
সিআইডি বলছে, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পণ্য রফতানি করার পর রফতানিমূল্য ৪ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন করার বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে রফতানিমূল্য বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন না করে সালমান এফ রহমানসহ বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যান্য স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত অর্থ বিদেশে পাচার করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলননের মুখে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেদিন শেখ হাসিনার সঙ্গে একই উড়োজাহাজে তার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও দেশত্যাগ করেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে।
তবে গত ১৩ অগাস্ট নৌপথে দেশ ছেড়ে পালানোর সময়ে বেক্সিমকো গ্রুপের এই ভাইস চেয়ারম্যানকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন মামলায় দফায় দফায় তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
সালমান এফ রহমান ও তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির নামে ও বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স